অন্ধ অনুসরণ কুফরী বা শিরক নয় কি? (সিরিজ নং-২১)

45.00৳ 

অন্ধ অনুসরণ কুফরী বা শিরক নয় কি? (সিরিজ নং-২১)
কারো কথা, বক্তব্য, লেখা, অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিনা যাচাইয়ে মেনে নেয়াকে অন্ধ অনুসরণ বলে। বর্তমান মুসলিম সমাজে অন্ধ অনুসরণ ব্যাপকভাবে চালু আছে। নিরক্ষর, সাধারণ শিক্ষিত, মাদ্রাসা শিক্ষিত সকল মুসলিমের মধ্যে এটি উপস্থিত। তবে এটি বিশেষভাবে চালু আছে বর্তমান ইসলামী শিক্ষায়। যে কুরআন হাতে নিয়ে মুসলিম জাতি জীবনের সকল দিকে অন্য সব জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল সে কুরআন অক্ষরে অক্ষরে অপরিবর্তিত আছে কিন্তু মুসলিম জাতি আজ জীবনের প্রায় সকল দিকে অন্য সব জাতির চেয়ে অবিশ্বাস্য রকমভাবে পিছিয়ে। এ বাস্তবতা প্রমাণ করে মুসলিমদের মূল জ্ঞানে কোনো না কোনোভাবে অনেক মৌলিক ভুল ঢুকেছে। অন্ধ অনুসরণ ঐ ভুলগুলোকে চালু রাখতে দারুণভাবে সহায়তা করছে। যারা অন্ধ অনুসরণ চালু করেছেন তাদের একটি যুক্তি হলো- যাদের ইসলামের জ্ঞান নেই তাদের জন্য ইসলামের জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্ধ অনুসরণ করা যৌক্তিক ও কল্যাণকর। কিন্তু, পৃথিবীতে নবী-রাসূলগণ ব্যতীত অন্য কেউ ভুলের উর্ধ্বে নয়। আর জ্ঞানীর একটি সংজ্ঞা হলো- যে জানে তার অজানার ভাণ্ডার কতো বড়ো। অন্যদিকে পৃথিবীর সকল মানুষের ইসলাম জানা বা ইসলামের বিষয়ে অন্যের উচ্চারিত ভুল কথা প্রাথমিকভাবে ধরতে পারার জন্য জ্ঞানের একটি উৎস মহান আল্লাহ সকল মানুষকে জন্মগতভাবে দিয়েছেন। সেটি হলো বোধশক্তি, Common Sense /,عَقْلٌ বা আল্লাহ প্রদত্ত সাধারণ জ্ঞান। তাই যার Common Sense জাগ্রত আছে সে ইসলামের অনেক কিছু জানে।
অন্ধ অনুসরণ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে অনেক তথ্য আছে। সে সব তথ্যের আলোকে সহজেই বুঝা যায়, অন্ধ অনুসরণ করা অবস্থাভেদে শিরক অথবা কুফরীর গুনাহ। তাই, ব্যক্তি ও জাতিকে অন্ধ অনুসরণের মহাক্ষতি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে কুরআন ও হাদীসের সে তথ্যগুলো একটু গুছিয়ে পুস্তিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

495 in stock

SKU: QRF-221 Categories: ,

লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি—ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন।

MBBS পাস করে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারিতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।। তিনি ল্যাপারোসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে (Single handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (Surgeon)।

প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে ব্যাপক ও মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলো- ইসলামের সে সকল মূল বিষয়, যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা ৪২টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense এর আলোকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ’ এবং ‘সনদ ও মতন সহীহ হাদীস সংকলন’। এ দুটির সম্পাদনা পরিষদের নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন। এ ধরনের কুরআনের অনুবাদ ও হাদীস সংকলন পৃথিবীতে এ দুটোই প্রথম।

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।
আমি একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ডাক্তারি বিষয় বাদ দিয়ে একজন ডাক্তার কেন এ বিষয়ে কলম ধরল? তাই এ বিষয়ে কেন কলম ধরেছি, সেটা প্রথমে আপনাদের জানানো দরকার। ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ ছিল। তাই দেশে-বিদেশে যেখানেই গিয়েছি, ইসলাম সম্বন্ধে সে দেশের মুসলিম ও অমুসলিমদের ধারণা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি ।বিলাত থেকে ফিরে এসে আমার মনে হল, জীবিকা অর্জনের জন্য বড় বড় বই পড়ে MBBS ও FRCS ডিগ্রী করেছি, এখন যদি পবিত্র কুরআন তাফসীরসহ বুঝে না পড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাই, আর আল্লাহ যদি জিজ্ঞাসা করেন, ইংরেজি ভাষায় বড় বড় বই পড়ে বড় ডাক্তার হয়েছিলে কিন্তু তোমার জীবন পরিচালনার পদ্ধতি জানিয়ে আরবীতে আমি যে কিতাবটি (কুরআন মজীদ) পাঠিয়েছিলাম, সেটি কি তরজমাসহ বুঝে পড়েছিলে? তখন এ প্রশ্নের আমি কী জবাব দেব? এ উপলব্ধিটি আসার পর আমি কুরআন মজীদ তাফসীরসহ বুঝে পড়তে আরম্ভ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাদ্রাসায় পড়ার কারণে আগে থেকে আরবী পড়তে ও লিখতে পারতাম। এরপর ইরাকে ৪ বছর রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে আরবী বলা ও বুঝার অভাবটা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়।

কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (QRF) একটি গবেষণা, শিক্ষা, সংস্কার, মানবকল্যাণ, ইসলামের প্রচার প্রসারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- যা মানবতার কল্যাণে নিবেদিত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “অন্ধ অনুসরণ কুফরী বা শিরক নয় কি? (সিরিজ নং-২১)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *