আল কুরআনের অর্থ ও তাফসীর করার মূলনীতি প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত তথ্য

65.00৳ 

আল কুরআনের অর্থ ও তাফসীর করার মূলনীতি প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত তথ্য সিরিজ-২৬

সারসংক্ষেপ
আল কুরআন বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র নির্ভুল আসমানি তথা সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত গ্রন্থ। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন পরিচালনার তথ্য ও বিধি—বিধান ধারণকারী গ্রন্থ। কুরআনের অর্থ বলতে বোঝায় কুরআনের আয়াতের শাব্দিক অর্থ। আর তাফসীর বলতে বোঝায় কুরআনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা বা বিস্তারিত রূপ। অন্যদিকে অনুবাদ হলো ভাষান্তর। এটি কুরআনের অর্থ ও তাফসীর উভয়টিরই হতে পারে। পৃথিবীতে কুরআনের অর্থ লেখকের সংখ্যা তাফসীর লেখক থেকে অনেক বেশি। আবার কুরআনের অর্থ পড়া মানুষের সংখ্যা তাফসীর পড়া মানুষ থেকেও অনেক বেশি। অর্থ ও তাফসীর দুটি ভিন্ন বিষয় হলেও একটি অন্যটির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। অর্থ ভুল হলে তাফসীর অবশ্যই ভুল হবে। অন্যদিকে অর্থ জানলে কুরআনের সব জানা হয়ে যায় না। কুরআন সঠিকভাবে জানতে হলে অনেক আয়াতের তাফসীর জানা খুবই জরুরি। এটা আরব ও অনারব সকলের জন্যই প্রযোজ্য।

কুরআনের অর্থ ও তাফসীর করার কিছু মূলনীতি (উসূল) আছে। ঐ মূলনীতিসমূহ অনুসরণ না করলে অর্থ ও তাফসীরে ভুল হতে বাধ্য। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বর্তমান মুসলিম বিশ্বে কুরআনের অর্থ করার কোনো মূলনীতি লিখিত আকারে আমাদের নজরে আসেনি। অন্যদিকে কুরআনের তাফসীর করার যে মূলনীতি বর্তমানে আছে এবং সকল মুসলিম দেশে শেখানো হয়, সেখানে মৌলিক ভুল বিদ্যমান। তাই আল কুরআনের প্রচলিত অধিকাংশ অর্থ ও তাফসীর গ্রন্থে মৌলিক ভুল আছে। আর তাই মুসলমানদের আমলেও মৌলিক ভুল পরিলক্ষিত হয়।

বিশ্বের মানুষের মহাকল্যাণকে সামনে রেখে আলোচ্য বইটিতে তথ্য—প্রমাণের ভিত্তিতে কুরআনের অর্থ ও তাফসীর করার মূলনীতি ও সহায়ক বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

495 in stock

SKU: QRF-126 Categories: ,

লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি—ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন।

গইইঝ পাস করে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারিতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।। তিনি ল্যাপারোসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে (Single handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (Surgeon)।

প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে ব্যাপক ও মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলো- ইসলামের সে সকল মূল বিষয়, যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা ৪২টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense—এর আলোকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ’ এবং ‘সনদ ও মতন সহীহ হাদীস সংকলন’। এ দুটির সম্পাদনা পরিষদের নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন। এ ধরনের কুরআনের অনুবাদ ও হাদীস সংকলন পৃথিবীতে এ দুটোই প্রথম।

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।
আমি একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ডাক্তারি বিষয় বাদ দিয়ে একজন ডাক্তার কেন এ বিষয়ে কলম ধরল? তাই এ বিষয়ে কেন কলম ধরেছি, সেটা প্রথমে আপনাদের জানানো দরকার। ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ ছিল। তাই দেশে-বিদেশে যেখানেই গিয়েছি, ইসলাম সম্বন্ধে সে দেশের মুসলিম ও অমুসলিমদের ধারণা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি ।বিলাত থেকে ফিরে এসে আমার মনে হল, জীবিকা অর্জনের জন্য বড় বড় বই পড়ে MBBS ও FRCS ডিগ্রী করেছি, এখন যদি পবিত্র কুরআন তাফসীরসহ বুঝে না পড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাই, আর আল্লাহ যদি জিজ্ঞাসা করেন, ইংরেজি ভাষায় বড় বড় বই পড়ে বড় ডাক্তার হয়েছিলে কিন্তু তোমার জীবন পরিচালনার পদ্ধতি জানিয়ে আরবীতে আমি যে কিতাবটি (কুরআন মজীদ) পাঠিয়েছিলাম, সেটি কি তরজমাসহ বুঝে পড়েছিলে? তখন এ প্রশ্নের আমি কী জবাব দেব? এ উপলব্ধিটি আসার পর আমি কুরআন মজীদ তাফসীরসহ বুঝে পড়তে আরম্ভ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাদ্রাসায় পড়ার কারণে আগে থেকে আরবী পড়তে ও লিখতে পারতাম। এরপর ইরাকে ৪ বছর রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে আরবী বলা ও বুঝার অভাবটা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়।

কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (QRF) একটি গবেষণা, শিক্ষা, সংস্কার, মানবকল্যাণ, ইসলামের প্রচার প্রসারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- যা মানবতার কল্যাণে নিবেদিত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “আল কুরআনের অর্থ ও তাফসীর করার মূলনীতি প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত তথ্য”

Your email address will not be published. Required fields are marked *