কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় হিসেবে ব্যকরণ, অনুবাদ, উদাহরণ , আকল ও সাধনার গুরত্ব (সিরিজ নং-৩৪)

85.00৳ 

কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় হিসেবে ব্যাকরণ, অনুবাদ, উদাহরণ, আকল ও সাধনার গুরুত্ব (সিরিজ নং-৩৪)
কুরআন, সুন্নাহ (সনদ ও মতন সহীহ হাদীস) ও Common Sense (আকল, নুহা, সাফাহ, বিবেক, বোধশক্তি, কাণ্ডজ্ঞান, হুশ, Logic, Conscience, Reasoning, Justification, Instinct, Rationality) অনুযায়ী মু’মিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় তথা সবচেয়ে বড়ো সাওয়াবের কাজ হলো কুরআনের জ্ঞানার্জন করা এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় তথা সবচেয়ে বড়ো গুনাহ হলো কুরআনের জ্ঞান না থাকা। যে দুটি বিষয় কুরআনের সঠিক জ্ঞানার্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে তা হলো, কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা (তাফসীর)। তাই, কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় কী কী, তা ইসলামের অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং, এ বিষয়ে কুরআন ও সুন্নায় অবশ্যই তথ্য থাকবে এবং আছেও। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, আল কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় সম্পর্কে বর্তমান মুসলিম সমাজে যে সকল কথা চালু আছে তা কুরআন, সুন্নাহ ও Common Sence-এর তথ্য থেকে বহু দূরে। এর ফলস্বরূপ কুরআনের অনেক বিষয়ের সঠিক শিক্ষা থেকে বর্তমান মুসলিম সমাজ অন্ধকারে। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান চরম অধঃপতন এবং বিশ্বের বর্তমান অশান্তির এটি একটি মূল কারণ।

পুস্তিকাটিতে কুরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় সম্পর্কে কুরআন, সুন্নাহ (সনদ ও মতন সহীহ হাদীস) ও Common Sence -এর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশাকরি উপস্থাপিত তথ্যগুলো জানার পর পাঠক সমাজ বর্তমানে কুরআনের অর্থ জানা-বোঝা কত সহজ তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন। আর আরব ও অনারব মানুষেরা কুরআনের ব্যাখ্যা জানা-বোঝার অতীব সহজ উপায়টিরও সন্ধান পেয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এর সম্মিলিত ফল হবে মানবতার কল্যাণ। কারণ, কুরআন শুধু মুসলিম জাতির কল্যাণের কিতাব নয়; বরং বিশ্বমানবতার কল্যাণের কিতাব।

SKU: QRF-34 Category:

লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি—ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন।

গইইঝ পাস করে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারিতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।। তিনি ল্যাপারোসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে (Single handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (Surgeon)।

প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে ব্যাপক ও মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলো- ইসলামের সে সকল মূল বিষয়, যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা ৪২টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense এর আলোকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ’ এবং ‘সনদ ও মতন সহীহ হাদীস সংকলন’। এ দুটির সম্পাদনা পরিষদের নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন। এ ধরনের কুরআনের অনুবাদ ও হাদীস সংকলন পৃথিবীতে এ দুটোই প্রথম।

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।
আমি একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ডাক্তারি বিষয় বাদ দিয়ে একজন ডাক্তার কেন এ বিষয়ে কলম ধরল? তাই এ বিষয়ে কেন কলম ধরেছি, সেটা প্রথমে আপনাদের জানানো দরকার। ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ ছিল। তাই দেশে-বিদেশে যেখানেই গিয়েছি, ইসলাম সম্বন্ধে সে দেশের মুসলিম ও অমুসলিমদের ধারণা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি ।বিলাত থেকে ফিরে এসে আমার মনে হল, জীবিকা অর্জনের জন্য বড় বড় বই পড়ে MBBS ও FRCS ডিগ্রী করেছি, এখন যদি পবিত্র কুরআন তাফসীরসহ বুঝে না পড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাই, আর আল্লাহ যদি জিজ্ঞাসা করেন, ইংরেজি ভাষায় বড় বড় বই পড়ে বড় ডাক্তার হয়েছিলে কিন্তু তোমার জীবন পরিচালনার পদ্ধতি জানিয়ে আরবীতে আমি যে কিতাবটি (কুরআন মজীদ) পাঠিয়েছিলাম, সেটি কি তরজমাসহ বুঝে পড়েছিলে? তখন এ প্রশ্নের আমি কী জবাব দেব? এ উপলব্ধিটি আসার পর আমি কুরআন মজীদ তাফসীরসহ বুঝে পড়তে আরম্ভ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাদ্রাসায় পড়ার কারণে আগে থেকে আরবী পড়তে ও লিখতে পারতাম। এরপর ইরাকে ৪ বছর রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে আরবী বলা ও বুঝার অভাবটা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়।

কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (QRF) একটি গবেষণা, শিক্ষা, সংস্কার, মানবকল্যাণ, ইসলামের প্রচার প্রসারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- যা মানবতার কল্যাণে নিবেদিত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানা-বোঝার সহায়ক বিষয় হিসেবে ব্যকরণ, অনুবাদ, উদাহরণ , আকল ও সাধনার গুরত্ব (সিরিজ নং-৩৪)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *