ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় বক্তব্য বা ওয়াজ-নসীহত উপস্থাপনের নীতিমালা

110.00৳ 

ইসলামী জীবনব্যবস্থায় বক্তব্য বা ওয়াজ-নসীহত উপস্থাপনের নীতিমালা

আলোচ্য বিষয়ের সারসংক্ষেপ

মহান আল্লাহ তা‘য়ালা মানুষকে দুনিয়ার কর্মের ভিত্তিতে পরকালে বিচার করে পুরস্কার বা শাস্তি দেবেন। এ বিচার হবে সর্বোচ্চ মানের ন্যায়বিচার। কর্মের ভিত্তিতে দেওয়া পুরস্কার বা শাস্তি ন্যায়বিচার হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হলো- করণীয় ও নিষিদ্ধ কাজ কোনগুলো তা মানুষকে জানিয়ে দেওয়া বা তা যেন মানুষের অজানা না থাকে। এ পূর্বশর্ত পূরণ করার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা তিনটি কাজ করেছেন-
১. করণীয় ও নিষিদ্ধ বিষয়ের বর্ণনা ধারণকারী নির্ভুল কিতাব পাঠিয়েছেন।
২. কথা, কাজ ও সমর্থন বা সুন্নাহ এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে কিতাবকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নবী-রাসূল (আ.) পাঠিয়েছেন।
৩. কিতাব ও সুন্নাহর বক্তব্য যেন কোনো মানুষের অজানা না থাকে সেজন্য কিতাব ও সুন্নাহর বক্তব্য অন্যের কাছে পৌঁছানোকে সকলের জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

তাই, কুরআন ও সুন্নাহর বক্তব্য অন্যের কাছে পৌঁছানো উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য ফরজ। ইসলামে এটিকে দাওয়াতী কাজ বলে। দাওয়াতী কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো- বক্তব্য বা ওয়াজ-নসীহতের মাধ্যমে ইসলামের তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো। এ কাজটি মুসলিম বিশ্বে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহর নিষিদ্ধ বিষয়ের আমল মুসলিম বিশ্বে আগের তূলনায় অনেক বেশি। কেন এমনটি হচ্ছে তা সকল চিন্তাশীল মুসলিমকে বিশেষভাবে ভাবতে হবে এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমাদের পর্যালোচনায় যেটি প্রমাণিত হয়েছে সেটি হলো- কুরআন ও সুন্নাহ দাওয়াত উপস্থাপনের যে নীতিমালা দিয়েছে, সেটি অনুসরণ না করাই এর প্রধান কারণ। তাই, কুরআন ও সুন্নাহ এবং Common sense-এর আলোকে দাওয়াতী কাজের যে নীতিমালা পাওয়া যায় সেটি এ পুস্তিকাটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। দাওয়াতী কাজের বিষয়ে উম্মাহকে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিতে এ পুস্তিকা বিশেষ ভূমিকা রাখবে- ইনশাআল্লাহ।

536 in stock

SKU: QRF-129 Categories: ,

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।
আমি একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ডাক্তারি বিষয় বাদ দিয়ে একজন ডাক্তার কেন এ বিষয়ে কলম ধরল? তাই এ বিষয়ে কেন কলম ধরেছি, সেটা প্রথমে আপনাদের জানানো দরকার। ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ ছিল। তাই দেশে-বিদেশে যেখানেই গিয়েছি, ইসলাম সম্বন্ধে সে দেশের মুসলিম ও অমুসলিমদের ধারণা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি ।বিলাত থেকে ফিরে এসে আমার মনে হল, জীবিকা অর্জনের জন্য বড় বড় বই পড়ে MBBS ও FRCS ডিগ্রী করেছি, এখন যদি পবিত্র কুরআন তাফসীরসহ বুঝে না পড়ে আল্লাহর কাছে চলে যাই, আর আল্লাহ যদি জিজ্ঞাসা করেন, ইংরেজি ভাষায় বড় বড় বই পড়ে বড় ডাক্তার হয়েছিলে কিন্তু তোমার জীবন পরিচালনার পদ্ধতি জানিয়ে আরবীতে আমি যে কিতাবটি (কুরআন মজীদ) পাঠিয়েছিলাম, সেটি কি তরজমাসহ বুঝে পড়েছিলে? তখন এ প্রশ্নের আমি কী জবাব দেব? এ উপলব্ধিটি আসার পর আমি কুরআন মজীদ তাফসীরসহ বুঝে পড়তে আরম্ভ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাদ্রাসায় পড়ার কারণে আগে থেকে আরবী পড়তে ও লিখতে পারতাম। এরপর ইরাকে ৪ বছর রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে আরবী বলা ও বুঝার অভাবটা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়।

কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (QRF) একটি গবেষণা, শিক্ষা, সংস্কার, মানবকল্যাণ, ইসলামের প্রচার প্রসারমূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- যা মানবতার কল্যাণে নিবেদিত।